==> দাফনের ১৫ মাস পর পিতা ও মেয়ের লাশ উত্তোলন

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের উজানদাসপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সিরু ও তার মেয়ে মিনা আক্তারের লাশ দাফনের ১৫ মাস পর ডি এন এ পরীক্ষার জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। এসময় নির্বাহী ম্যাজিষ্টেটের কাছে হত্যা কারীদের বিচার চাইলেন বাদীসহ
এলাকাবাসী। অভিযোগে বলা হয়েছে, অবৈধ বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনা জানাজানির ভয়ে ময়না তদন্ত ছাড়াই তরিগড়ি করে লাশ দাফন করা হয়েছিল। ঘটনার দেড় বছর পর নিহত শিরু মিয়ার বোন ও মিনা আক্তারের ফুফু বাদী হয়ে ময়না তদন্তের আবেদন করায় বিঞ্জ আদালত ময়না তদন্তের জন্য গত-২৯ আগষ্ট লাশ উত্তোলনের অনুমতি প্রদান করেন। তারই প্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বিভিষন কান্তি দাশ গতকাল দুপুরে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ সাখাওয়াত হোসেনকে সংগে নিয়ে ত্রিশাল থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ উত্তোলন করেন।  অভিযোগকারী আয়েশা খাতুন জানান, গত ৪/৫ বছর যাবৎ ৪২ শতাংশ জমি নিয়ে পার্শ্ববর্তী শামসুদ্দিন দুলাল মেম্বার   প্রতিনিয়ত বিরোধ চালিয়ে আসছিল। তারা প্রায় সময় আমার ভাইকে হত্যার হুমকি দিতো। বিষয়টি জানতে পেরে আমার ভাই বাদী হয়ে পুর্বেই ত্রিশাল থানায় সাধারন ডাইরী করে ছিলেন। শামসুদ্দিন দুলাল মেম্বার ডিপ টিউবওয়েল হতে কারচুপি করে নিজ ফিশারী ও নিজ বাড়ীতে দূর্বল বৈদ্যুতিক তার দিয়ে লাইন নেয়। এটি অবৈধ লাইন বলেও জনমনে প্রচার রয়েছে। বাঁশের খুঁটি ভেঙ্গে বৈদ্যতিক তার রাস্তায় ও ফিশারীতে পরে থাকে। আমার ভাই শিরু মিয়া মেয়ের বাড়ীতে যাওয়ার পথে বৈদ্যতিক তারে জড়িয়ে মারা যায়। অপর দিয়ে ভাতিজি মিনা আক্তারও বাবাকে ডাকতে গেলে সেও বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা যায়। বাদীর দাবী ২ জনকেই পরিকল্পিত ভাবে হত্যা  করে মিথ্যা বুদ্ধি ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করানো হয়েছিল। ঘটনার পর সকাল ১০টার দিকে সিরুর লাশ পাওয়া যায়। মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে জোহরের নামাজের পর। নিহত শিরুর স্ত্রী রহিমা জানান, আমি আমার ৩ মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। বর্তমানে আমার উপার্জনের কোন লোক নেই। শামসুদ্দিন মেম্বাররা প্রায়ই বলতো শিরুকে মারবো। দেশ শান্তি করবো। দেশ শান্তি হয়েছে। আমার সব শেষ হয়েছে। লাশ মাটি দিয়েছে, আমাদের বাধা মানেনি। মৃত্যুর পর আমার স্বামীর লাশ আমাদের দেখতে দেয়নি। জমি সহ অনেক কিছু দেওয়ার কথা ছিল। এখন আর কোন কিছু দেয়না। বর্তমানে আমাদের অনেক ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি আমার স্বামী ও মেয়ে হত্যার বিচার চাই। ডি এন এ পরীক্ষার জন্য পিতা ও মেয়ের লাশ উত্তোলনের পর দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার আওলাদ হোসেন জানান,আদালতের নির্দেশে ময়মনসিংহ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বিভিষন কান্তি দাশের উপস্থিতিতে কবর খুড়িয়ে লাশের দেহআংশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ জানান শুনেছি শিরু ও মিনার লাশ পার্শ্ববর্তি পুকুরে পাওয়া গেছে। যদি কেও তাদের মেরে থাকে তবে আমি চাই তাদের বিচার হওক।

Powered by Blogger.