ভেঙেই গেল ইমন-বিজরীর ঘর!
গুঞ্জনটা অনেক পুরনো। নিদেনপক্ষে ছয় মাস তো হবেই। এতদিন ধরে গুঞ্জনে ছিল
অনেক কথাই। যার সারসংক্ষেপ এমন, অতঃপর দু’জনার দুটি পথ দুটি দিকে গেছে
বেঁকে! অর্থাৎ ভেঙেই গেল দেশের অন্যতম সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন আর
অন্যতম অভিনেত্রী বিজরী বরকত উল্লাহর ঘর। লম্বা প্রেমের দিন পেরিয়ে এ
সংসারের বয়স এখন প্রায় দেড় যুগ। তার ওপর আছে এক কন্যা সন্তান উর্বানা। গেল
ছয় সাত মাসে মিডিয়ার বাতাসে লুটোপুটি খাওয়া এমন গুঞ্জন অথবা বাস্তবতার
বিপরীতে একেবারেই নিশ্চুপ ছিলেন ইমন-বিজরী দম্পতি। প্রশ্নের জবাবে শুধু
বলেছেন, শোনা কথায় কান দেবেন না! এমন কিছুই ঘটেনি। আবার ইমন-বিজরীর অনেক
কাছের মানুষকেই মিডিয়ার কান ভারি করে বলতে শোনা গেছে, আহারে শেষতক সংসারটা
বুঝি ভেঙে গেল। কারণ, দু’পক্ষই নিকটজনের কাছে ভাঙনের বিষয়টি শেয়ার করেছেন
দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে। মাসখানেক আগেও এমন গুঞ্জনকে অর্থহীন, অবান্তর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দু’জনেই। তবে খুব সমপ্রতি মিডিয়ার কাছে নিজেরাই জানাচ্ছেন পুরনো গুঞ্জনের নতুন সত্যতার কথা। দু’জনেই বলেছেন, আমরা বেশ ক’মাস ধরে আলাদা বসবাস করছি। পারিবারিকভাবে একসঙ্গে নেই। আমাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছে না অনেক দিন ধরেই। সঙ্গে এটাও বলছেন, আমরা আলাদা থাকলেও এখন পর্যন্ত বিচ্ছেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেইনি। আপাতত কিছুটা সময় একা থাকতে চাই। আর এসব মিলিয়ে নতুন করে স্পষ্ট হলো ইমন-বিজরীর ঘর ভাঙার সুর। তবে সংসার অক্ষুণ্ন রাখতে এখনও বিজরীর অপেক্ষায় আছেন শওকত আলী ইমন। অন্যদিকে বিজরী বরকত উল্লাহ আলাদা থাকার বিষয়ে এখনও অনড় অবস্থানে রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে গতকাল সকালে মানবজমিনকে বিজরী স্পষ্ট করেই বলেন, আমরা আলাদা থাকছি এটা সত্যি। তবে আজই এর বেশি কিছু বলতে চাই না। এ বিষয়ে ২/৩ দিন পরে কথা বলবো। অন্যদিকে শওকত আলী ইমন মানবজমিনকে বলেন, আমি আসলে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মিডিয়ায় কিছু বলতে চাই না। বলতে গেলে হাজারো কথা বলা যায়। কিন্তু আমি কিছুই বলবো না। তিনি আরও বলেন, আমরা আলাদা আছি এটা ঠিক। তার মানে তো এই নয়, আমাদের সংসার ভেঙে গেছে। সময়ের প্রয়োজনে আমরা সবাই কারও না কারও কাছ থেকে আলাদা থাকি। আবার এক হই। এটাই তো বাস্তবতা। ফলে এই আলাদা থাকার বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখার অবকাশ নেই। ইমন কথায় কথায় আরও বলেন, একসঙ্গে থাকলে, চলতে গেলে একটু আধটু মান-অভিমান হতেই পারে। প্রতিটি সংসারেই মান-অভিমান থাকে। আমি এসব মান-অভিমান ছাপিয়ে একমাত্র সন্তান উর্বানার আগামী নিয়ে ভাবতে বেশি পছন্দ করি। আমি চাই না আমাদের মান-অভিমানের জের ধরে উর্বানা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। সে জন্যই বলছি, এ বিষয়ে আমি আসলে ঢোল তো দূরের কথা, মন্দিরাও বাজাতে প্রস্তুত নই। দু’জনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এবং পারিবারিক সূত্রে এটুকু স্পষ্ট প্রায়, আলাদা থাকা কিংবা বিচ্ছেদের বিষয়ে বিজরী এখনও যতটা অনড়, ঠিক ততটাই আশাবাদী হয়ে বিজরীর ফিরে আসার প্রহর গুনছেন ইমন। বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মান-অভিমানের সূত্র ধরে দু’জনের আলাদা থাকার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ ক’বার লম্বা সময় আলাদা থেকে ইস্কাটনস্থ নিজ সংসারে ফিরেছেন বিজরী। সূত্র জানায়, শেষ পাঁচ ছয় বছর ধরেই বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে ভুগছে ইমন-বিজরীর সাজানো ঘর। বারবার তারা এক হয়েছেন কন্যা উর্বানার কথা ভেবে। তবে এবারের বিষয়টি অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে একটু বেশি জটিল বলে মনে করছেন ঘনিষ্ঠজনরা। উল্লেখ্য, ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া কন্যা উর্বানাকে নিয়ে বিজরী অবস্থান করছেন বাবা-মায়ের সঙ্গে। আর ইমন একা থাকছেন ইস্কাটন গার্ডেনে নিজস্ব ফ্ল্যাটে।
দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে। মাসখানেক আগেও এমন গুঞ্জনকে অর্থহীন, অবান্তর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দু’জনেই। তবে খুব সমপ্রতি মিডিয়ার কাছে নিজেরাই জানাচ্ছেন পুরনো গুঞ্জনের নতুন সত্যতার কথা। দু’জনেই বলেছেন, আমরা বেশ ক’মাস ধরে আলাদা বসবাস করছি। পারিবারিকভাবে একসঙ্গে নেই। আমাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছে না অনেক দিন ধরেই। সঙ্গে এটাও বলছেন, আমরা আলাদা থাকলেও এখন পর্যন্ত বিচ্ছেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেইনি। আপাতত কিছুটা সময় একা থাকতে চাই। আর এসব মিলিয়ে নতুন করে স্পষ্ট হলো ইমন-বিজরীর ঘর ভাঙার সুর। তবে সংসার অক্ষুণ্ন রাখতে এখনও বিজরীর অপেক্ষায় আছেন শওকত আলী ইমন। অন্যদিকে বিজরী বরকত উল্লাহ আলাদা থাকার বিষয়ে এখনও অনড় অবস্থানে রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে গতকাল সকালে মানবজমিনকে বিজরী স্পষ্ট করেই বলেন, আমরা আলাদা থাকছি এটা সত্যি। তবে আজই এর বেশি কিছু বলতে চাই না। এ বিষয়ে ২/৩ দিন পরে কথা বলবো। অন্যদিকে শওকত আলী ইমন মানবজমিনকে বলেন, আমি আসলে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মিডিয়ায় কিছু বলতে চাই না। বলতে গেলে হাজারো কথা বলা যায়। কিন্তু আমি কিছুই বলবো না। তিনি আরও বলেন, আমরা আলাদা আছি এটা ঠিক। তার মানে তো এই নয়, আমাদের সংসার ভেঙে গেছে। সময়ের প্রয়োজনে আমরা সবাই কারও না কারও কাছ থেকে আলাদা থাকি। আবার এক হই। এটাই তো বাস্তবতা। ফলে এই আলাদা থাকার বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখার অবকাশ নেই। ইমন কথায় কথায় আরও বলেন, একসঙ্গে থাকলে, চলতে গেলে একটু আধটু মান-অভিমান হতেই পারে। প্রতিটি সংসারেই মান-অভিমান থাকে। আমি এসব মান-অভিমান ছাপিয়ে একমাত্র সন্তান উর্বানার আগামী নিয়ে ভাবতে বেশি পছন্দ করি। আমি চাই না আমাদের মান-অভিমানের জের ধরে উর্বানা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। সে জন্যই বলছি, এ বিষয়ে আমি আসলে ঢোল তো দূরের কথা, মন্দিরাও বাজাতে প্রস্তুত নই। দু’জনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এবং পারিবারিক সূত্রে এটুকু স্পষ্ট প্রায়, আলাদা থাকা কিংবা বিচ্ছেদের বিষয়ে বিজরী এখনও যতটা অনড়, ঠিক ততটাই আশাবাদী হয়ে বিজরীর ফিরে আসার প্রহর গুনছেন ইমন। বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মান-অভিমানের সূত্র ধরে দু’জনের আলাদা থাকার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ ক’বার লম্বা সময় আলাদা থেকে ইস্কাটনস্থ নিজ সংসারে ফিরেছেন বিজরী। সূত্র জানায়, শেষ পাঁচ ছয় বছর ধরেই বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে ভুগছে ইমন-বিজরীর সাজানো ঘর। বারবার তারা এক হয়েছেন কন্যা উর্বানার কথা ভেবে। তবে এবারের বিষয়টি অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে একটু বেশি জটিল বলে মনে করছেন ঘনিষ্ঠজনরা। উল্লেখ্য, ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া কন্যা উর্বানাকে নিয়ে বিজরী অবস্থান করছেন বাবা-মায়ের সঙ্গে। আর ইমন একা থাকছেন ইস্কাটন গার্ডেনে নিজস্ব ফ্ল্যাটে।