মৃত্যুদণ্ডের রায় মানি না: ইরাকের ভাইস প্রেসিডেন্ট
বেশ কিছুকাল শান্ত থাকার পর ইরাকের পরিস্থিতি আবার উত্তেজনাপূর্ণ
হয়ে উঠেছে৷ পলাতক ভাইস প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায়কে কেন্দ্র
করে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে৷
মার্কিন নেতৃত্বে সেনা অভিযানের মাধ্যমে সাদ্দাম হুসেনের পতন, তারপর একের
পর এক নির্বাচন সত্ত্বেও ইরাকে গণতান্ত্রিক কাঠামোর বিকাশ সহজ হচ্ছে না৷
শিয়া, সুন্নি, কুর্দিদের
স্বার্থের সংঘাতের পাশাপাশি সংখ্যাগুরু শিয়াদের মধ্যেও রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে, যার জের ধরে প্রধানমন্ত্রী মালিকি ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আলাউয়ি জোট গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ এবার তাতে যোগ হলো সুন্নি ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক আল হাশেমি'কে নিয়ে অচলাবস্থা৷ বহুকাল ধরে দেশের উপর কর্তৃত্ব চালানোর পর সংখ্যালঘু সুন্নিরা বর্তমানে নিজেদের কোণঠাসা বলে মনে করছেন৷
সোমবার ইরাকের পলাতক ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক আল হাশেমি মুখ খুলেছেন৷ চলতি বছরের শুরুতেই তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন৷ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় তিনি বলেছেন, হত্যার অভিযোগ ও মৃত্যুদণ্ডের রায় মানতে তিনি নারাজ৷ দেশে ফেরার পূর্বশর্ত হিসেবে তিনি নিরাপত্তার গ্যারেন্টি ও এমন এক আদালতের দাবি করছেন, যেখানে ন্যায্য বিচার সম্ভব৷ তিনি প্রধানমন্ত্রী মালিকি'র তুমুল সমালোচনা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী মালিকি ও তাঁর বিচার বিভাগ এক ক্যাঙারু আদালতের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে নাটকীয় অভিযানের প্রথম পর্ব শেষ করেছে৷''
বিষয়টি এখন আর শুধু ইরাকের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই৷ প্রতিবেশী সিরিয়ার সংকটের প্রেক্ষাপটে শিয়া-সুন্নি সংঘাত আরও বড় আঞ্চলিক মাত্রা অর্জন করছে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷ আল কায়েদার ঘনিষ্ঠ সুন্নি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সিরিয়ায় প্রবেশ করে অরাজকতার সুযোগ নিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে তারা মনে করেন৷ অন্যদিকে ইরানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শিয়া নেতা মালিকি, আলোয়াইট শিয়া সম্প্রদায়ের সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠছে৷ সৌদি আরব সহ সুন্নি প্রধান দেশগুলি মালিকির উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে৷ ওয়াশিংটন এমনকি অভিযোগ করছে, যে মালিকি ইরাকের ভূখণ্ডের উপর দিয়ে ইরানকে সিরিয়ায় অস্ত্র পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছে৷ মালিকি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করছেন৷
এসবি / এসি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)
স্বার্থের সংঘাতের পাশাপাশি সংখ্যাগুরু শিয়াদের মধ্যেও রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে, যার জের ধরে প্রধানমন্ত্রী মালিকি ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আলাউয়ি জোট গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ এবার তাতে যোগ হলো সুন্নি ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক আল হাশেমি'কে নিয়ে অচলাবস্থা৷ বহুকাল ধরে দেশের উপর কর্তৃত্ব চালানোর পর সংখ্যালঘু সুন্নিরা বর্তমানে নিজেদের কোণঠাসা বলে মনে করছেন৷
সোমবার ইরাকের পলাতক ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক আল হাশেমি মুখ খুলেছেন৷ চলতি বছরের শুরুতেই তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন৷ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় তিনি বলেছেন, হত্যার অভিযোগ ও মৃত্যুদণ্ডের রায় মানতে তিনি নারাজ৷ দেশে ফেরার পূর্বশর্ত হিসেবে তিনি নিরাপত্তার গ্যারেন্টি ও এমন এক আদালতের দাবি করছেন, যেখানে ন্যায্য বিচার সম্ভব৷ তিনি প্রধানমন্ত্রী মালিকি'র তুমুল সমালোচনা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী মালিকি ও তাঁর বিচার বিভাগ এক ক্যাঙারু আদালতের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে নাটকীয় অভিযানের প্রথম পর্ব শেষ করেছে৷''
দুই প্রতিদ্বন্দ্বি, মালিকি এবং হাশেমি
এদিকে সপ্তাহান্তে ইরাকের একাধিক শহরে হামলার ফলে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৮৮,
আহত ৪০০রও বেশি৷ মোট ১০টি শহরে হামলার মূল লক্ষ্যই ছিল শিয়ারা৷ আল কায়েদার
শাখা সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক' সোমবার এই হামলার দায় স্বীকার করেছে৷
আল হাশেমি নিজে পরিস্থিতি শান্ত রাখার আবেদন জানালেও কাজ হয় নি৷ তিনি এমনকি
অভিযোগ তোলেন, যে মালিকির সরকার গোটা বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক সংকট হিসেবে
তুলে ধরার চেষ্টা করছে৷বিষয়টি এখন আর শুধু ইরাকের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই৷ প্রতিবেশী সিরিয়ার সংকটের প্রেক্ষাপটে শিয়া-সুন্নি সংঘাত আরও বড় আঞ্চলিক মাত্রা অর্জন করছে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷ আল কায়েদার ঘনিষ্ঠ সুন্নি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সিরিয়ায় প্রবেশ করে অরাজকতার সুযোগ নিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে তারা মনে করেন৷ অন্যদিকে ইরানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শিয়া নেতা মালিকি, আলোয়াইট শিয়া সম্প্রদায়ের সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠছে৷ সৌদি আরব সহ সুন্নি প্রধান দেশগুলি মালিকির উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে৷ ওয়াশিংটন এমনকি অভিযোগ করছে, যে মালিকি ইরাকের ভূখণ্ডের উপর দিয়ে ইরানকে সিরিয়ায় অস্ত্র পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছে৷ মালিকি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করছেন৷
এসবি / এসি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)