ধর্ষক পান্না মাস্টারের সহযোগী প্রকৌশলী টুটুল গ্রেফতার
মঙ্গলবার ভোর রাতে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে।
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান,
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোররাতে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে টুটুলকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৭ জুলাই কুষ্টিয়া মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এসব ঘটনা জানাজানি হলে সম্প্রতি কুষ্টিয়ার সাদা মনের মানুষ বলে পরিচিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, কুষ্টিয়ার আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হেলাল উদ্দিন পান্নার ভাড়া করা বাসার একটি রুমে একাধিক মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে মিলিত হয় আলিমুজ্জামান টুটুল, হেলাল উদ্দিন পান্না, মনিরুল ইসলাম মনো, সজল। এসব দৃশ্য গোপন ক্যামেরায় ধারণ করে রাখা হতো।
সম্প্রতি ওই ভিডিওচিত্র শহরে ছড়িয়ে পড়লে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বাদি হয়ে ৭ জুলাই স্কুলছাত্রীদের সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারির মূল হোতা হেলাল উদ্দিন পান্না, আলিমুজ্জামান টুটুলসহ চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে আলিমুজ্জামান টুটুলসহ পান্নাকে মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকার মহম্মদপুর এলাকার চিনু মিয়া রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পান্নাকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় গত ৭ জুলাই কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে শিক্ষক হেলাল উদ্দিন পান্না, তিন প্রকৌশলী টুটুল, সজল ও হাসানকে আসামী করে বাংলাদেশ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর ৮(১) (৬) ও (৭) ধারায় মামলা দায়ের করেন। সর্বপ্রথম পুলিশ এ মামলায় প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান হাসানকে গ্রেফতার করে।
এজাহারে নাম না দিলেও পরে মিডিয়ায় ব্যাপক লেখালেখি হওয়ায় পুলিশ পান্নার অপর সহযোগী যুবলীগ নেতা ও বীমাকর্মী মনিরুল ইসলাম মনোকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশের অভিযানে মুল আসামি পান্না ও মঙ্গলবার ভোর রাতে আলিমুজ্জামান টুটুল গ্রেফতার হলো। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর দুই প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম সজল ও প্রকৌশলী আওলাদ হোসেন দুলাল এখনো পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
পুলিশের মামলায় প্রকৌশলী আওলাদ হোসেন দুলালের নাম না থাকলেও পর্নোগ্রাফির ভিডিও ফুটেজে যশোর পল্লী বিদ্যুতের সহকারী প্রকৌশলী আওলাদ হোসেন দুলালকে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন..