চলন্ত ট্রেনে ১০ টাকা দিয়ে নাবালিকা ধর্ষণ

চলন্ত ট্রেনে ধর্ষণের শিকার এক নাবালিকা। গতকাল ছত্তীসগড়ের বিলাসপুরের কাছে হাওড়া-কুড়লা এক্সপ্রেসে সাত বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণ করার পর ওই ব্যক্তি মেয়েটিকে বিলাসপুর রেল স্টেশনে ফেলে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তার হাতে দিয়ে যায় ১০ টাকার একটি নোট। গতকাল কোতোয়াল পুলিশ স্টেশন সংলগ্ন বাজার এলাকায় মেয়েটিকে
আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
বিলাসপুরের এসপি রতনলাল ডাঙ্গি জানিয়েছেন, “মেয়েটিকে গতকাল সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ছত্তীসগড় ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সাইসেন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মেয়েটির অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা খতিয়ে দেখছি চলন্ত ট্রেনেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, নাকি অন্য কোথাও ধর্ষণ করে রেলস্টেশনে ফেলে রেখে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি।” ওই ধর্ষিতা পুলিশকে জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে হাওড়া-কুড়লা এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিল সে। শনিবার রাতে রাথরুমে যাওয়ার সময় ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তার পিছু নেয়। বাথরুমের মধ্যেই তাকে ধর্ষণ করার পর বিলাসপুর রেল স্টেশনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তার হাতে গুঁজে দেয় একটি দশ টাকার নোট। এসপি রতনলাল ডাঙ্গি জানিয়েছেন, মেয়েটির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় অভিযোগ এখনও লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে যাওয়ার পথে যে তথ্য পুলিশকে জানিয়েছে তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। মেয়েটির বয়ান অনুযায়ী ঘটনার সময় ওই ট্রেনে তার সঙ্গে আর কেউ ছিল কিনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির কোনও খোঁজ দিতে পারলে জিআরপি-র পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকার পুরস্কার মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিলাসপুর স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ। বিলাসপুর স্টেশনের সিনিয়র ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনার বি রামাকৃষ্ণা জানিয়েছেন, “মেয়েটির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। দু’দিনের আগে ওর সঙ্গে কথা বলা যাবে না। আশা করছি তার মধ্যে কিছুটা উন্নতি হবে।” এই ঘটনায় ট্রেনে যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। জিআরপির ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। ক্ষোভ সামলাতে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ, প্রশাসন।

,
Powered by Blogger.