শোলাকিয়ার ঈমামকে নিয়ে ফেসবুকে ঝড়

শোলাকিয়ার ঈমাম ও কওমি আলেম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ঝড় উঠেছে। তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে ইতিমধ্যে বিতর্কিত হয়েছেন তিনি। আর এ কারণে তার পেছনে ঈদের নামাজ পড়তে অনাগ্রহ
শোলাকিয়া মাঠের মুসল্লিদের।
এ ছাড়া সম্প্রতি ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে জাকাত নিয়েও মন্তব্য করেছেন। এতে কওমি মাদ্রাসার আলেম-ওলামা ও সাধারণ মানুষ তার ওপর আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়েছেন। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যদি মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে শোলাকিয়ার ঈদের জামাতে ইমাম রাখা হয়, তাহলে বিশৃঙ্খলা হতে পারে।
বর্তমান উত্তরাধিকারী ও শোলাকিয়া ঈদগাহের মোতাওয়াল্লি দেওয়ান মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ্ দাদ খান নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “আমাদের নিয়োগ করা ইমাম মাওলানা আবুল খায়ের মো. সাইফুল্লাহকে বাদ দিয়ে তথাকথিত আলেম ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে প্রশাসন নিয়োগ দেয়ায় এ মাঠের মুসল্লিরা অসন্তুষ্ট। তাকে আর কেউ ইমাম হিসেবে এই মাঠে দেখতে চায় না।”
ইতিমধ্যে কিশোরগঞ্জবাসী ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের পেছনে নামাজ পড়তে অনীহা প্রকাশ করেছে। তাকে প্রত্যাহার করার দাবিতে মানববন্ধনও করেছে তারা। এসব কর্মসূচি থেকে তাকে কিশোরগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে নিয়ে ব্যাপক ঝড় উঠেছে ফেসবুকেও। ফেসবুকে তাকে নিয়ে করা মন্তব্যের কয়েকটি নিচে তুলে ধরা হলো।
আহমাদুল্লাহ নামের একজন তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “এই না হলে দালাল!!! এই না হলে চাটুকার!! মোনাফেকের ঠিকানা জাহান্নামের অতল তলে। তোমায় ধিক্কার জানানোর ভাষা আমার অজানা হে ফরীদ!! তোমার বিচারের ভার ছেড়ে দিলাম আল্লাহর ওপর।”
আল মিসবাহ তালেব লিখেছেন, “আমি মাসঊদ সাহেবকে অনুরোধ করতেছি, আপনি পদত্যাগ করেন, নতুবা আপনাকে বেইজ্জত হতে হবে। আর আপনার বেইজ্জত মানে আলেম সমাজের বেইজ্জতি।”
মাহমুদ নাইস লিখেছেন, “খেয়াল রাখতে হবে, ফরীদ উদ্দীন নামের বিতর্কিক লোকটা যেন ঈদগাহের কাছেও না আসতে পারে। সে একটা ভণ্ড। তার পিছনে নামাজ হবে না।”
মিসরে বাংলাদেশী প্রবাসী আযাদ সাইমুম লিখেছেন, “নৌমন্ত্রী শাহজান খানের মতো শোলাকিয়া ঈদগাহে মুসল্লিদের রোষানলে জুতাপেটা খেতে পারেন শাহবাগের পীর ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
সামছুল আলম লিখেছেন, “শয়তানদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করার পর সে কিভাবে মুসলমান থাকতে পারে, তা আমার বুঝে আসে না।”
মোহাম্মদ আল মুজাহিদী লিখেছেন, Fariduddin masod ekjon secularist. Tar fashi chai. (ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ একজন সেক্যুলারিস্ট। তার ফাঁসি চাই।)
নুর আবসার জনি লিখেছেন, “মাসুদ আওয়ামী লীগ আর নাস্তিকদের ইমাম, শোলাকিয়ার নয়।”
সরোয়ার কামাল লিখেছেন, “শেষমেশ ঈদের জামায়াত নিয়েও নাটক!”
সম্প্রতি বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেছেন, “মসজিদ-মাদ্রাসার ইমারত নির্মাণ কিংবা শিক্ষকদের বেতন-ভাতায় জাকাত দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন, তারা যেন জাকাতের অর্থ কোন (দ্বীনি) প্রতিষ্ঠানে না দিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে এবং (তার কর্তৃত্বাধীন সরকারি জাকাত বোর্ডে জমা দিয়ে) দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখেন।”
এ বক্তব্যের প্রতিবাদে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, “বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ নিজে একজন কওমি প্রোডাক্ট এবং শত শত কওমি আলেম প্রডাকশনের ম্যানেজার। সুতরাং মাদ্রাসাগুলোতে জাকাতের অর্থ ব্যয়ের জন্য পৃথক লিল্লাহ ফান্ড রয়েছে এবং সেখানেই সাধারণত জাকাতের অর্থ জমা হয়। এ বিষয়টি তার অজানা থাকার কথা নয়। তারপরও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের কো-চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে আকারে-ইঙ্গিতে কওমি মাদ্রাসায় জাকাত না দিতে বলেছেন। ফরীদ উদ্দীন মাসুদ, সবাই ছাড়লেও ইতিহাস তোমায় ছাড়বে না…।”
নাসিম চৌধুরী লিখেছেন, “পবিত্র কুরআনের নাম নিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছেন ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। নতুন বার্তা

Powered by Blogger.