পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জিয়া খানের প্রেমিক
মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে জিয়া খান সর্বশেষ ফোনে কথা বলেছিলেন তাঁর প্রেমিক
সুরাজ পাঞ্চলির সঙ্গে। এই সূত্র ধরে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আদিত্য
পাঞ্চোলির ছেলে সুরজকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মুম্বাই পুলিশ।
বলিউডের উঠতি অভিনেত্রী জিয়া খান জুহু
বিচ সংলগ্ন নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন ৩ জুন সোমবার রাতে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গলায় ফাঁস লাগানোর কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে মুম্বাই পুলিশ জিয়ার আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও সহকারীদের পাশাপাশি তাঁর প্রেমিক সুরজকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বলিউডে ডুবন্ত ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন জিয়া খান। কিন্তু শুধু এ কারণে তিনি আত্মহত্যার মতো কঠিন একটি পথ বেছে নেবেন, এটা মানতে নারাজ তাঁর কাছের মানুষেরা। তাঁরা জানান, কিছুদিন ধরে জিয়া ও সুরজের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। বিষয়টি নিয়ে খুবই বিচলিত ছিলেন জিয়া। তাঁর আত্মহত্যার পেছনে এটা বড় একটা কারণ হতে পারে।
২৫ বছর বয়সী জিয়া খানের বেড়ে ওঠা যুক্তরাজ্যে। কিছুদিন আগে মা রাবেয়া আমিনের সঙ্গে যুক্তরাজ্য থেকে মুম্বাইয়ে চলে আসেন তিনি। থাকতেন জুহু বিচ সংলগ্ন সাগরসংগীত নামের একটি ফ্ল্যাটে। আত্মহত্যার সময় জিয়া বাসায় একাই ছিলেন। সোমবার রাত ১১টার দিকে তাঁর মা ও বোন বাসায় ফিরে জিয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পুলিশ জানায়, নিজের ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জিয়া।
জিনিউজে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আত্মহত্যা করার এক ঘণ্টারও কম সময় আগে সুরজের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন জিয়া খান। সুরজের কাছে তিনি ফোন করেছিলেন রাত সোয়া ১০টার দিকে।
এদিকে ভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলের খবরে দাবি করা হয়েছে, জিয়া সন্দেহ করছিলেন অন্য কোনো নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন সুরজ। পাঞ্চোলি পরিবারে গয়না সরবরাহ করতে গিয়ে সুরজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে ওই নারীর। প্রেমিকের কাছ থেকে প্রতারিত হওয়ার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন জিয়া। কারণ, সুরজকে অন্ধের মতো ভালোবাসতেন তিনি। আত্মহত্যার আগমুহূর্তে এ বিষয়টি নিয়েই ফোনে সুরজের সঙ্গে তাঁর উত্তপ্ত তর্কবিতর্ক হয়।
অবশ্য এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন সুরজ। তিনি দাবি করেছেন, জিয়া ও তাঁকে ঘিরে যেসব খবর প্রকাশ করা হচ্ছে, সেই সবের কোনো ভিত্তি নেই।
জিয়া খান শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম অভিনয় করেছিলেন ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দিল সে’ ছবিতে। এরপর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ২০০৭ সালে অভিনয় করেন রাম গোপাল ভার্মার ‘নিঃশব্দ’ ছবিতে। ছবিটিতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। ছবিটিতে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সেরা নবাগত হিসেবে মনোনয়নও পেয়েছিলেন জিয়া।
তবে জিয়া খানের জীবনে সবচেয়ে সেরা কাজ বলিউড ‘পারফেকশনিস্ট’ আমির খানের সঙ্গে ‘গজনি’ ছবিতে। ছবিটি দুর্দান্ত ব্যবসা করে। এর পরপরই জিয়াকে নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয় বলিউডে। ২০১০ সালে সাজিদ খানের ‘হাউসফুল’ ছবিতেও অভিনয় করেন জিয়া খান। এটিই জিয়া অভিনীত সর্বশেষ ছবি।
বলিউডের উঠতি অভিনেত্রী জিয়া খান জুহু
বিচ সংলগ্ন নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন ৩ জুন সোমবার রাতে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গলায় ফাঁস লাগানোর কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে মুম্বাই পুলিশ জিয়ার আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও সহকারীদের পাশাপাশি তাঁর প্রেমিক সুরজকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বলিউডে ডুবন্ত ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন জিয়া খান। কিন্তু শুধু এ কারণে তিনি আত্মহত্যার মতো কঠিন একটি পথ বেছে নেবেন, এটা মানতে নারাজ তাঁর কাছের মানুষেরা। তাঁরা জানান, কিছুদিন ধরে জিয়া ও সুরজের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। বিষয়টি নিয়ে খুবই বিচলিত ছিলেন জিয়া। তাঁর আত্মহত্যার পেছনে এটা বড় একটা কারণ হতে পারে।
২৫ বছর বয়সী জিয়া খানের বেড়ে ওঠা যুক্তরাজ্যে। কিছুদিন আগে মা রাবেয়া আমিনের সঙ্গে যুক্তরাজ্য থেকে মুম্বাইয়ে চলে আসেন তিনি। থাকতেন জুহু বিচ সংলগ্ন সাগরসংগীত নামের একটি ফ্ল্যাটে। আত্মহত্যার সময় জিয়া বাসায় একাই ছিলেন। সোমবার রাত ১১টার দিকে তাঁর মা ও বোন বাসায় ফিরে জিয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পুলিশ জানায়, নিজের ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জিয়া।
জিনিউজে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আত্মহত্যা করার এক ঘণ্টারও কম সময় আগে সুরজের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন জিয়া খান। সুরজের কাছে তিনি ফোন করেছিলেন রাত সোয়া ১০টার দিকে।
এদিকে ভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলের খবরে দাবি করা হয়েছে, জিয়া সন্দেহ করছিলেন অন্য কোনো নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন সুরজ। পাঞ্চোলি পরিবারে গয়না সরবরাহ করতে গিয়ে সুরজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে ওই নারীর। প্রেমিকের কাছ থেকে প্রতারিত হওয়ার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন জিয়া। কারণ, সুরজকে অন্ধের মতো ভালোবাসতেন তিনি। আত্মহত্যার আগমুহূর্তে এ বিষয়টি নিয়েই ফোনে সুরজের সঙ্গে তাঁর উত্তপ্ত তর্কবিতর্ক হয়।
অবশ্য এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন সুরজ। তিনি দাবি করেছেন, জিয়া ও তাঁকে ঘিরে যেসব খবর প্রকাশ করা হচ্ছে, সেই সবের কোনো ভিত্তি নেই।
জিয়া খান শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম অভিনয় করেছিলেন ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দিল সে’ ছবিতে। এরপর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ২০০৭ সালে অভিনয় করেন রাম গোপাল ভার্মার ‘নিঃশব্দ’ ছবিতে। ছবিটিতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। ছবিটিতে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সেরা নবাগত হিসেবে মনোনয়নও পেয়েছিলেন জিয়া।
তবে জিয়া খানের জীবনে সবচেয়ে সেরা কাজ বলিউড ‘পারফেকশনিস্ট’ আমির খানের সঙ্গে ‘গজনি’ ছবিতে। ছবিটি দুর্দান্ত ব্যবসা করে। এর পরপরই জিয়াকে নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয় বলিউডে। ২০১০ সালে সাজিদ খানের ‘হাউসফুল’ ছবিতেও অভিনয় করেন জিয়া খান। এটিই জিয়া অভিনীত সর্বশেষ ছবি।