ডাক্তারের কাছে ৬৬ বছর বয়সে জানলেন,তিনি 'মহিলা'
.jpg)
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন এই বিরল ঘটনাকে চিকিৎসা শাস্ত্রে বলা হয় Turner syndrome। বিরল এই জিনঘটিত রোগে আক্রান্ত হন মহিলারা। শরীরে ক্রোমোজোমের গঠনে সমস্যা দেখা দেয়। তার জেরে দেখা দেয় বন্ধ্যাত্ব।
হংকং-এর রোগীর ক্ষেত্রে আবার যোগ হয়েছে অন্য উপসর্গ। তাঁর ছিল congenital adrenal hyperplasia। তার জেরে মুখে ছিল হাল্কা গোঁফ-দাড়ির আভাস। এছাড়াও দেহে ছিল micropenis।
তবে চিকিৎসকরা মনে করছেন,হংকং-এর ব্যক্তির ক্ষেত্রে ওভারিয়ান সিস্ট না হলে এই বিরল এবং জটিল রোগ সামনে আসত না।
সাড়ে পাঁচ ফুটের দৈর্ঘ্যের হংকং-এর ওই বাসিন্দার দেহে টেস্টিস ছিল না। এমনকী পিউবার্টির পর থেকে তাঁর শরীরে কোনও বৃদ্ধিও হয়নি। ছোটবেলা থেকেই অনাথ হিসেবে বড় হয়েছেন এই ব্যক্তি।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন পৃথীবিতে তাঁর মতো রোগী দেখা গেছে মাত্র ছ জন। অন্তত মেডিক্যাল হিস্ট্রি তাই বলে। এদের দেহে দু রকমের জিনঘটিত জটিলতা বাসা বাঁধে। একটি Turner syndrome এবং অন্যটি congenital adrenal hyperplasia। অন্যদিকে সাধারণত Turner Syndrome দেখা যায় প্রতি আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার মহিলার মধ্যে মাত্র এক জনের।
স্বাভাবিক ক্ষেত্রে পুরুষদের দেহে XY এবং মহিলাদের দেহে XX ক্রোমোজোম থাকে। কিন্তু Turner Syndrome আক্রান্তদের ক্ষেত্রে থাকে শুধু একটা X ক্রোমোজোম। বাকি X ক্রোমোজোমটি থাকে না। আর তার ফলেই দেখা দেয় যত জটিলতা।