সিঙ্গাপুরে খালেদা-রওশন এরশাদ, লন্ডনে তারেক রহমান-ফিরোজ রশিদ বৈঠক?

সিঙ্গাপুরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে রওশন এরশাদ আর লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কাজী ফিরোজ রশিদ। জাতীয় পার্টির একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে। তবে খালেদা
জিয়ার সঙ্গে রওশন এরশাদের বিষয়টি বৈঠক না বলে তারা কুশল বিনিময় বলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন।
তবে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কোনো বৈঠক হয়নি বলে এ দাবী তার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর।
হাসপাতালে সোমবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে এরশাদপত্নী ও সাবেক ফার্স্ট লেডি বেগম রওশন এরশাদের কুশল বিনিময় হয়েছে বলে জাতীয় পার্টির একটি বিশ্বস্ত সূত্র দাবি করেছে। সূত্রটি জানায়, রওশন এরশাদ সেখানে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাপার এক নেতা জানান, এরশাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত নয়। তবে এরশাদের নির্দেশেই লন্ডনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির মুখপাত্র ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ।
কাজী ফিরোজ রশিদ প্রায় এক মাস লন্ডনে অবস্থান করে সোমবার রাতে দেশে ফিরেছেন। আর মঙ্গলবার রাতে দেশে ফিরেছেন এরশাদ।
তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে কাজী ফিরোজ রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি হেসে বলেন, “এসব গুজব। আমার সঙ্গে তারেক রহমানের কোনো বৈঠক হয়নি। আমি পারিবারিক কাজে লন্ডন গিয়েছিলাম।  তারেক রহমান থাকেন লন্ডনের বাইরে। ”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রওশন এরশাদের ঘনিষ্ঠ জাপার একজন যুগ্ম মহাসচিব জানান, “এরশাদের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুর বৈঠক হবার কথা ছিল। এজন্য তিনি দুদিন আগে ঢাকা থেকে দুবাই যান । আর সেখান থেকে মোসাদ্দেক আলী সিঙ্গাপুরে যান। কিন্তু অতিরিক্ত গোয়েন্দা নজরদারি এবং হাসপাতালে পরিবেশ না থাকায় বৈঠক হয়নি।’’
জাপা সূত্র জানাচ্ছে, এরশাদ হেফাজত সমর্থন করেন। কিন্তু তার দলের আওয়ামীপন্থীরা এ বিষয়টি ভালো চোখে দেখছে না। যদিও এরশাদ তাদের কাছে টানছেন। একইসঙ্গে এরশাদ এটিও বুঝতে পারছেন যে, সামনের দিনগুলোতে আওয়ামী লীগের অবস্থা নাজুক হতে পারে। সে কারণে তিনি আগেভাগেই বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চাচ্ছেন।
জাপার ওই সূত্র দাবি করেছে, দলের বেশির ভাগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নেতা-কর্মী ১৪ দলের সঙ্গে থাকতে চাচ্ছেন না। এরশাদ এ বিষয়টি বুঝতে পেরে কাজী ফিরোজ রশিদকে লন্ডনে পাঠান। নিজে নেপথ্যে থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে রওশনের কথা বলিয়ে এবং তারেকের সঙ্গে ফিরোজ রশিদের  বৈঠকের মাধ্যমে এরশাদ নিজেকে দলের আওয়ামীপন্থীদের কাছে নিরাপদ থাকলেন। আর অন্যদিকে বিএনপিকে বুঝালেন যে তিনি মহাজোটে থাকছেন না।
এ বিষয়ে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন,“ আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমি শুধু জানি সিঙ্গাপুরে স্যারের (এরশাদ) সঙ্গে খালেদা জিয়ার কোনো বৈঠক হয়নি।”

, ,
Powered by Blogger.