থ্রিজি লাইসেন্স কেলেঙ্কারিতে রাষ্ট্রপতি কন্যা

মোবাইল ফোনের থ্রিজি লাইসেন্স সংক্রান্ত সাড়া জাগানো কেলেংকারিতে জড়িয়ে গেছে উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্টের বড় কন্যা গুলনারা কারিমভ। পপ তারকা, ফ্যাশন ডিজাইনার এবং জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন গুলনারা। কিন্তু টেলিকম কেলেংকারিতে জড়িয়ে পড়ায়
তার সেই সুনাম এবং জনপ্রিয়তা এখন হুমকির মুখে। সুইডেনের একটি টিভি চ্যানেল সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দাবি করে, উজবেকিস্তানে থ্রিজি মোবাইল সার্ভিসের লাইসেন্স পেতে সুইডেন ভিত্তিক টেলিয়াসোনেরা উজবেকিস্তানের একটি মধ্যস্বত্ত্বভোগী কোম্পানিকে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ দিয়েছে।
টিভি প্রতিবেদনে এই কেলেংকারি ফাঁস হবার পর উজবেকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় বয়ে যায়। অপরদিকে, সুইডেনের পার্লামেন্টেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। কারণ এত বড় আর্থিক কেলেংকারির ঘটনা উজবেকিস্তানে খুব কম আছে। টেলিয়াসোনেরা কাজ পেতে একজন উজবেক তরুণীর মালিকানাধীন ‘টাকিল্যান্ট’ নামের একটি ছোট কোম্পানির দ্বারস্থ হয়। ওই উজবেক তরুণীর নাম গায়ানে আভিকিয়ান। ২৯ বছর বয়সী এক তরুণী কিভাবে উজবেকিস্তানের থ্রিজি লাইসেন্স বাগানোর ক্ষমতা অর্জন করলেন তা নিয়ে ব্যাপক তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে দেখা যায়, প্যারিসে একটি ফ্যাশন শোতে তার পাশে বসে আছেন উজবেক প্রেসিডেন্টের কন্যা মিসেস কারিমভ। গোয়েন্দাদের হাতে এই ছবিটি আসার পর তারা ধারণা করছেন প্রেসিডেন্ট কন্যা এই আর্থিক কেলেংকারিতে জড়িত আছেন। তার সঙ্গে সুসম্পর্কই আভিকিয়ানকে এত বড় জালিয়াতি করতে সহায়তা করেছে। আভিকিয়ানের ‘টাকিল্যান্ট’ কোম্পানিটি জিব্রাল্টার থেকে নিবন্ধিত। কিন্তু গোয়েন্দারা তদন্ত করতে জিব্রাল্টারে গিয়ে দেখেন, কোম্পানিটি সম্পর্কে আভিকিয়ান যেসব তথ্য দিয়েছেন এবং যেসব ঠিকানা এবং স্থাপনার কথা উল্লেখ করেছেন তার সবই ভূয়া! অর্থাত্ নামসর্বস্ব একটি প্রতিষ্ঠান কাজ পাইয়ে দেয়ার নাম করে ৩০০ মিলিয়ন ডলার আত্মসাত্ করেছে। এমন জালিয়াত প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ঘুষ নেয়া সম্ভব হয়েছে কিভাবে তা তদন্ত করতেই উজবেক প্রেসিডেন্ট ইসলাম কারিমভের কন্যা চলে এসেছেন সন্দেহের তালিকায়।
source:হ্যালো-টুডে

,
Powered by Blogger.