মেক্সিকোতে শিশুদের নির্মিত পর্নো ভিডিও!

শিশুদের নির্মিত একটি পর্নো ভিডিও নিয়ে এবার রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে মেক্সিকোতে। মেক্সিকোর উপসাগরীয় উপকূলীয় প্রদেশ ক্যাম্পিসের কালকিনি শহরে একটি স্কুলের কক্ষে
এ কাণ্ড ঘটিয়েছে ষষ্ঠ গ্রেডের শিক্ষার্থীরা। এর সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের একজনের মা পর্নো ভিডিওটি ইন্টারনেটে দেখে কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরপরই এ নিয়ে শহরজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। জড়িতদের কারও বিরুদ্ধে অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে এখন তাদের মানসিক কাউন্সেলিং দেয়া হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষও জড়িতদের কারও নাম বা বয়স প্রকাশ করেনি। মেক্সিকোর ষষ্ঠ গ্রেডের শিক্ষার্থীদের বয়স সাধারণত ১২ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে। সেখানকার প্রাদেশিক শিক্ষা বিভাগের মুখপাত্র ওমার কান্তুন জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে কোন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি জড়িত আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, ভিডিওটি গত এপ্রিলের শেষের দিকে ধারণ করা হয়েছে। স্কুল ছুটির সময় একটি খালি ক্লাসরুমে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

ক্যামেরায় ধারণ করা দৃশ্যে তিন জন শিক্ষার্থীকে দেখা গেছে। চতুর্থ কেউ এ দৃশ্য ধারণ করেছে। পর্নো ভিডিওটি ইতিধ্যেই ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে ওমার জানিয়েছেন। এদিকে এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১১ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুরা পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে অথবা তারা পর্নো ছবি দেখে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ইউনিভার্সিটির মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের মনোবিজ্ঞানী রাজ সিথারথান ও তার স্ত্রী গোমতি সিথারথান এ বিষয়ে ৮০০ মানুষের ওপর একটি জরিপ চালিয়েছেন। তাতে দেখা গেছে, যারা পর্নোছবি দেখে তার মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই পুরুষ।

রাজ বলেছেন, শিশুরা ১১ থেকে ১৩ বছর বয়সের মধ্যেই পর্নোগ্রাফি দেখা শুরু করে। এ বিষয়টি এখন অতি সহজ হয়ে গেছে। কারণ, যে কেউ যে কোন সময় তার চাহিদামতো পর্নো দেখার সুবিধা পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক তরুণ-যুবক পর্নোগ্রাফি দেখার কথা স্বীকার করেছে। অনেকে এর ক্ষতিকর প্রভাবে ভুগছে। তারা এতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। তবে কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির অ্যালান ম্যাকি মনে করেন না যে, এতে নিকোটিন বা হেরোইনের মতো আসক্তি হয়। তার মতে, ছেলেমেয়েরা এমনসব পর্নোগ্রাফি দেখে যা তাদের নিজেদের যৌন পরিচয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

Powered by Blogger.