ঘুষ নিয়ে ধরা খেয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী

চার হাজার কোটি টাকা বেশি নয়- অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে প্রমাণ করেছে, শেয়ারবাজার, কুইক রেন্টাল, রেল কেলেঙ্কারীতে কতো টাকার দুর্নীতি হয়েছে সে হিসেব তিনি জানেন। আর ওই কারণেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। একথা বলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, হলমার্ক কেলেঙ্কারী নিয়ে মন্তব্যের কারণে অর্থমন্ত্রী ভুল করে সংসদে ক্ষমা চায়নি। বরং রাষ্ট্রীয় গোপন কথা ফাঁস করে দিয়েছেন বলেই তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘রাষ্ট্রীয় সর্বব্যাপী সংকট আশু করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশবাসি অর্থমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশে সন্তুষ্ট নয়, জনগণ এ লুটপাটের অবসান চায়। তার মতে, বিএনপি আন্দোলনে ভয় পায় না। সরকারের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে কঠোর আন্দোলন আসছে। যে আন্দোলনে বর্তমান স্বৈরাচারি সরকার কিছুতেই টিকে থাকতে পারবে না। তিনি আফসোস করে বলেন,
আমরা এমন এক দেশে বাস করি যে দেশের অর্থমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি একজন ঘৃণিত ব্যক্তি। আর ঘুষ নিয়ে ধরা খাওয়ার পরও মন্ত্রিসভায় রয়েছে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী। এসব মন্ত্রী দিয়েই সরকার চলছে। তারা কিভাবে দেশের উন্নয়ন করবে? সংগঠনের সভাপতি আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে আর বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি আফম ইউসুফ হায়দার, সরকারি কর্মকমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান জিন্নাতুন্নেসা তাহমিনা বেগম, অধ্যাপক আবু আহমেদ, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানাউল্লাহ মিয়া, চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম, ড্যাব মহাসচিব ডা. এজেড জাহিদ হোসেন।

Powered by Blogger.