‘ঘেটুপুত্র কমলা’ মুক্তির প্রথম দিনই বাজিমাত করেছে
সদ্য প্রয়াত জননন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের শেষ চলচ্চিত্র
‘ঘেটুপুত্র কমলা’ মুক্তির প্রথম দিনই বাজিমাত করেছে। হুমায়ূন-ভক্তদের
পাশাপাশি চলচ্চিত্রপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এ চলচ্চিত্রটি
আজ শুক্রবার রাজধানী ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স ও বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডের দুটি
প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পেয়েছে। ছুটির দিনে সকাল থেকে প্রেক্ষাগৃহে ছিল
উপচে পড়া ভিড়। অনেককেই ফিরে যেতে হয়েছে টিকিট না পেয়ে।
বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড প্রেক্ষাগৃহের ব্যবস্থাপক জয় প্রথম আলো ডটকমকে আজ বিকেলে বলেন, ‘আমাদের দুটি প্রেক্ষাগৃহে “ঘেটুপুত্র কমলা” মুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রথম থেকেই আমাদের প্রত্যাশা ছিল ছবিটি ভালো ব্যবসা করবে। কিন্তু এটা যে আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হবে, সেটা ধারণায় ছিল না।’
জয় এ-ও বলেন, ‘আমাদের দুটি প্রেক্ষাগৃহের আসনসংখ্যা যথাক্রমে এক হাজার ৭৫ ও ২৮০টি করে। সকাল সাড়ে ১০টা ও বেলা সাড়ে তিনটার দুটি শোতে প্রেক্ষাগৃহে কোনো আসন খালি ছিল না। সন্ধ্যার শোরও সব টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে। এমনকি আগামীকাল শনিবারেরও বেশ কয়েকটি শোর অগ্রিম টিকিটও বিক্রি করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে অনেক দিন পর প্রেক্ষাগৃহে চলচ্চিত্রপ্রেমী দর্শকদের একটা ঢল নেমেছে বলা যায়।’
বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডের মতো একই অবস্থা স্টার সিনেপ্লেক্সেরও। এই প্রেক্ষাগৃহেও সকাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি শো ছিল হাউসফুল। সন্ধ্যার শোরও কোনো টিকিট নেই বলে জানান স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। এখানেও অনেকে টিকিট না পেয়ে সিনেমা দেখতে না পেরে মন খারাপ করে ফিরে যাচ্ছেন। তবে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পেরে কষ্টটা কিছুটা লাঘব হচ্ছে বলে তাঁদের অভিমত।
ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় নন্দিত চলচ্চিত্রনির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ পর্যায়ক্রমে সারা দেশে মুক্তি পাবে। চলচ্চিত্রটির কাহিনি, সংলাপ, চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করেছেন হুমায়ূন আহমেদ।
প্রায় দেড় শ বছর আগে হবিগঞ্জ জেলার জলসুখা গ্রামের এক বৈষ্ণব আখড়ায় ঘেটুগান নামের নতুন সংগীতধারা সৃষ্টি হয়েছিল। মেয়ের পোশাক পরে কিছু রূপবান কিশোর নাচ-গান করত। এদের নামই ঘেটু। গান হতো প্রচলিত সুরে, যেখানে উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রভাব ছিল স্পষ্ট। অতি জনপ্রিয় এই সংগীতধারায় নারীবেশী কিশোরদের উপস্থিতির কারণেই এর মধ্যে অশ্লীলতা ঢুকে পড়ে। বিত্তবানেরা এসব কিশোরকে যৌন-সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার জন্য লালায়িত হতে শুরু করেন। এ কাহিনি নিয়ে নন্দিত ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রনির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ঘেটুপুত্র কমলা’। নির্মাতা নেই, কিন্তু রয়ে গেছে তাঁর সৃষ্টি।
হুমায়ূন আহমেদ নিউইয়র্কে চিকিত্সারত অবস্থায় শেষবারের মতো দেশে এসেছিলেন গত মে মাসে। তখন তিনি তাঁর শুভানুধ্যায়ী, বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীদের নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সে চলচ্চিত্রটির বিশেষ প্রদর্শনী উপভোগ করেছিলেন। এরপর গত বুধবার বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডে এক প্রিমিয়ার শোর আয়োজন করা হয়েছিল।
‘ঘেটুপুত্র কমলা’ ছবির অভিনয়শিল্পীরা হলেন: তারিক আনাম খান, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মুনমুন আহমেদ, মাসুদ আখন্দ, তমালিকা কর্মকার, শামিমা নাজমিন, প্রাণ রায়, বাউলশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি ও তাঁর দল, আইনুন নাহার, আবদুল্লাহ রানা, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। ‘ঘেটুপুত্র কমলার’ কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনেতা শিশুশিল্পী মামুন।
বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড প্রেক্ষাগৃহের ব্যবস্থাপক জয় প্রথম আলো ডটকমকে আজ বিকেলে বলেন, ‘আমাদের দুটি প্রেক্ষাগৃহে “ঘেটুপুত্র কমলা” মুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রথম থেকেই আমাদের প্রত্যাশা ছিল ছবিটি ভালো ব্যবসা করবে। কিন্তু এটা যে আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হবে, সেটা ধারণায় ছিল না।’
জয় এ-ও বলেন, ‘আমাদের দুটি প্রেক্ষাগৃহের আসনসংখ্যা যথাক্রমে এক হাজার ৭৫ ও ২৮০টি করে। সকাল সাড়ে ১০টা ও বেলা সাড়ে তিনটার দুটি শোতে প্রেক্ষাগৃহে কোনো আসন খালি ছিল না। সন্ধ্যার শোরও সব টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে। এমনকি আগামীকাল শনিবারেরও বেশ কয়েকটি শোর অগ্রিম টিকিটও বিক্রি করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে অনেক দিন পর প্রেক্ষাগৃহে চলচ্চিত্রপ্রেমী দর্শকদের একটা ঢল নেমেছে বলা যায়।’
বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডের মতো একই অবস্থা স্টার সিনেপ্লেক্সেরও। এই প্রেক্ষাগৃহেও সকাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি শো ছিল হাউসফুল। সন্ধ্যার শোরও কোনো টিকিট নেই বলে জানান স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। এখানেও অনেকে টিকিট না পেয়ে সিনেমা দেখতে না পেরে মন খারাপ করে ফিরে যাচ্ছেন। তবে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পেরে কষ্টটা কিছুটা লাঘব হচ্ছে বলে তাঁদের অভিমত।
ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় নন্দিত চলচ্চিত্রনির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ পর্যায়ক্রমে সারা দেশে মুক্তি পাবে। চলচ্চিত্রটির কাহিনি, সংলাপ, চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করেছেন হুমায়ূন আহমেদ।
প্রায় দেড় শ বছর আগে হবিগঞ্জ জেলার জলসুখা গ্রামের এক বৈষ্ণব আখড়ায় ঘেটুগান নামের নতুন সংগীতধারা সৃষ্টি হয়েছিল। মেয়ের পোশাক পরে কিছু রূপবান কিশোর নাচ-গান করত। এদের নামই ঘেটু। গান হতো প্রচলিত সুরে, যেখানে উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রভাব ছিল স্পষ্ট। অতি জনপ্রিয় এই সংগীতধারায় নারীবেশী কিশোরদের উপস্থিতির কারণেই এর মধ্যে অশ্লীলতা ঢুকে পড়ে। বিত্তবানেরা এসব কিশোরকে যৌন-সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার জন্য লালায়িত হতে শুরু করেন। এ কাহিনি নিয়ে নন্দিত ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রনির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ঘেটুপুত্র কমলা’। নির্মাতা নেই, কিন্তু রয়ে গেছে তাঁর সৃষ্টি।
হুমায়ূন আহমেদ নিউইয়র্কে চিকিত্সারত অবস্থায় শেষবারের মতো দেশে এসেছিলেন গত মে মাসে। তখন তিনি তাঁর শুভানুধ্যায়ী, বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীদের নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সে চলচ্চিত্রটির বিশেষ প্রদর্শনী উপভোগ করেছিলেন। এরপর গত বুধবার বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডে এক প্রিমিয়ার শোর আয়োজন করা হয়েছিল।
‘ঘেটুপুত্র কমলা’ ছবির অভিনয়শিল্পীরা হলেন: তারিক আনাম খান, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মুনমুন আহমেদ, মাসুদ আখন্দ, তমালিকা কর্মকার, শামিমা নাজমিন, প্রাণ রায়, বাউলশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি ও তাঁর দল, আইনুন নাহার, আবদুল্লাহ রানা, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। ‘ঘেটুপুত্র কমলার’ কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনেতা শিশুশিল্পী মামুন।