৮০ হাজার গৃহকর্মী নেবে হংকং
বাংলাদেশের নারীশ্রমিকদের জন্য নতুন বাজার হতে যাচ্ছে হংকং। আগামী ছয় মাসে বাংলাদেশ থেকে দেশটি প্রায় ৮০ হাজার গৃহকর্মী নিতে চায়। একেকজন কর্মী এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৪৯০ মার্কিন ডলার (প্রায় ৪০ হাজার) করে বেতন পাবেন। সরকারিভাবে নিবন্ধন করেই নারীশ্রমিকদের বিদেশে
পাঠানো হবে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। হংকংয়ের জনশক্তি রপ্তানিকারকদের একটি সংগঠন মন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে। এরপরই মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নেওয়ার বিষয়ে হংকং ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানান খন্দকার মোশাররফ। তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাদের সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে নারীকর্মীদের দুই মাসের প্রশিক্ষণ দেবে। মালয়েশিয়ার মতোই সরকারিভাবে নিবন্ধন করে কর্মী পাঠানো হবে। এ ক্ষেত্রে কর্মীদের কোনো খরচ হবে না।’
কবে নাগাদ এই নিবন্ধন হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আগামী মাসেই তাঁরা নিবন্ধন শুরু করবেন। নিবন্ধনের বাইরে কোনো কর্মী নেওয়া যাবে না। এভাবে নিবন্ধন হলে এমনিতেই দালালপ্রথা ভেঙে যাবে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘হংকং, সিঙ্গাপুর—এসব দেশে নারীশ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা অত্যন্ত ভালো। আমাদের নারীকর্মীরা সপ্তাহে এক দিন করে ছুটিও পাবেন।’
প্রবাসীকল্যাণ সচিব জাফর আহমেদ খান বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশের নাগরিকদের কোথাও বিক্রি হতে দিতে পারি না। তাই এখন থেকে সরকারি নিবন্ধনের মাধ্যমেই কর্মীরা বিদেশে যাবে।’
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক বেগম শামসুন্নাহার বলেন, ‘হংকংয়ের চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিএমইটির চুক্তি হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশি নারীকর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ বইও প্রস্তুত করে ফেলেছে।
বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দুই লাখ ছয় হাজার ৫২৫ জন নারীকর্মী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। তাঁদের বেশির ভাগই লেবানন, জর্ডান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরিশাস ও সিঙ্গাপুরে কাজ করছেন। পুরুষের পাশাপাশি তাঁরাও বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে অবদান রাখছেন জাতীয় অর্থনীতিতে। তবে এই প্রথম হংকং বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে যাচ্ছে।