খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা চলছে

বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা চলছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চতুর্থ কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে '৯০ এর ছাত্রনেতাদের ব্যানারে আয়োজিত আলোচনা সভায় দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কানাডার এক অনলাইন পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, কানাডিয়ান একটি অনলাইন পত্রিকায় গোমেজ নামে একজন লিখেছেন- বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা হচ্ছে। এ বিষয়টি ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। তিনি বলেন, ইন্ডিয়ান টাইমস রিপোর্ট করেছে- শেখ হাসিনা সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়ার দল বিজয়ী হবে। এ কারণেই এসব ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। নয় মাস ধরে চেষ্টা করছি পালিয়ে যেতে কিন্তু পারছি না মর্মে অর্থমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনি পালিয়ে যেতে পারবেন না। পালাবার পথ নেই। শেয়ারবাজার ও ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন হিসাব না দিয়ে যাবেন কই। অবশ্যই জনগণের এসব টাকার হিসাব দিয়ে যেতে হবে। এসময় তিনি কবিতা আবৃত্তির ঢংয়ে বলেন, উত্তরে পবর্তমালা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, মাঝখানে ১৬ কোটি মানুষ। কোথায় পালিয়ে যাবেন আপনারা। তিনি বলেন, যারা শহীদ জিয়াকে হত্যা করেছিল, সেই ষড়যন্ত্রকারীরাই তারেক রহমানকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। তারেক রহমান আমাদের মাঝে ফিরে এসে যেন রাজনীতি করতে না পারেন সেজন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। মুফতি হান্নানকে নির্যাতন করে তারেক রহমানের নাম বলানো হয়েছে। সেই মুফতি হান্নান আদালতে গিয়ে বলেছে সে তারেক রহমানকে চেনে না। প্রধানমন্ত্রী বুয়েটের ছাত্রদের ধমক দিয়েছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার গলায় পিতার সুর শুনতে পেলাম। তার পিতা বলেছিলেন, লাল ঘোড়া দাবড়িয়ে দেব। আসলে স্বৈরাচারীর যখন পতন ঘনিয়ে আসে তখন তারা এ রকম হুঙ্কার দেয়। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখন আর প্রেসক্লাবের ভেতরে আলোচনাসভা আর সামনে মানববন্ধন করে স্বৈরাচারী সরকারকে হঠানো যাবে না। আমাদের রাস্তায় নেমে পড়তে হবে। হাটে মাঠে ঘাটে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। সেই আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ৯০ এর ছাত্রনেতা ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, জাপগা মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি, বিএনপি নেতা রফিক সিকদার, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আসাদুর রহমান খান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম প্রমুখ।

Powered by Blogger.