ছাত্রী ধর্ষক শিক্ষক তারক চন্দ্র মণ্ডলের ভারতে পালানোর চেষ্টা

নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সময় সে এক বান্ধকবীকে বিয়ে করে সাভারের সংসার শুরু করেছিল। তবে তার চরিত্র খারাপ হওয়ায় প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে যায়। পরে সে আবার বিয়ে করে। এই সংসাদের তার দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
তারক মণ্ডল চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দিকে তার বাসায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়া এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই শিক্ষার্থীর এ বিষয়ে স্কুলে অভিযোগ করলে তা সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তারককে বরখাস্ত করা হয়।
ইংরেজির সহকারি শিক্ষক ধর্ষক তারককে কেবল বরখাস্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। তারা তারক চন্দ্র মণ্ডলের বিচার দাবি করছেন। এখনই তাকে গ্রেপ্তার করা দরকার বলে একজন অভিবাবক গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন। তার মতে, এভাবে অপরাধ করে পার পেয়ে গেলে সমাজে এই অনাচার চলতেই থাকবে।
ধর্ষিতা মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি উল্লেখ করে ভাষানটেক থানার ওসি হোসনে আরা বলেন, আমরা মামলা ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না। ধর্ষিতার পরিবার এ বিষয়ে তাদের করণীয় ঠিক করতে পারেনি। স্কলের তরফে তারা চাপে রয়েছে বলে জানা গেছে।
সাম হ্যয়ার ইন ব্লগে স্টিকি করা পোস্টের আপডেটে বলা হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হওয়ায় ধর্ষিতা শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হবে না বলে স্কুলের তরফে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে স্কুল কর্র্তপক্ষের বক্তব্য জানতে বারবার ফোন করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনা নিয়ে ডিজিটাল দুনিয়ায় তোলপাড় চললেও সরকারেরর তরফেও এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়র যায়নি।