‘ভারতে শুধু সেক্স এবং শাহরুখ খানই বিক্রি হয়!’
ঠিকই বলেছিলেন অভিনেত্রী নেতা ধুপিয়া, ‘ভারতে শুধু সেক্স এবং শাহরুখ খানই বিক্রি হয়!’ যদিও নেহার এই আবেগের বশে বলা কথাটিতে তথ্যের
কোনো অবকাশ ছিল না।
কিন্তু সত্যিই ইন্ডাস্ট্রিতে এই মুহূর্তে শাহরুখ খান এমন একটি ‘মানি মেশিন’-এর নাম, যিনি ক্রিকেট বা সিনেমা, যার সঙ্গেই নাম জড়ান, লাভের গুড় পিঁপড়াতে চেটেও শেষ করতে পারবে না! সেই ১৯৯৩ থেকে (‘ডর’, ‘বাজিগর’ রিলিজের সময় থেকে) প্রতি বছর প্রথম তিনজন ‘বিক্রয়যোগ্য’ নায়কের তালিকায় তিনি থাকেনই!
১৯৯৪, ‘৯৫, ‘৯৬ থেকে এখনও পর্যন্ত, তা সে ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ই হোক বা ‘বীর জারা’, কিংবা ‘ডন’ হয়ে হালে ‘মাই নেম ইজ খান’ বা ‘ডন ২’, বলিউডের মোস্ট ব্যাঙ্কেবল অভিনেতাটির নাম এসআরকে! জনপ্রিয়তার তুল্যমূল্য বিচার না করে শুধু যদি নীরস সংখ্যাও দেখা যায়, তা হলে দেখা যাবে, শুধু ছবি থেকে আয়ের ক্ষেত্রে (বলিউডের সর্বকালীন ইতিহাসে) ‘ডন ২’ রয়েছে চার নম্বরে (২০৬ কোটি), ‘রা ওয়ান’ পাঁচ নম্বরে (২০২ কোটি) এবং ‘মাই নেম ইজ খান’ ছ’ নম্বরে ((২০০ কোটি)।
এমনকি, লাভের ব্যাপারেও ‘কিং’ তিনিই। কারণ, নিন্দুকের মতে ‘রা-ওয়ান’ যতই অ্যাভারেজ ছবি হোক না কেন, শাহরুখের এই ড্রিম প্রোজেক্টের লাভের অঙ্কডিট মোটেও অ্যভোরেজ নয়। তার পরিমাণ ১১৪.৬৭ কোটি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বলিউডের এই মধ্যে শাহরুখই একমাত্র স্টার, যিনি বিদেশের মাটিতেও মারাত্মক জনপ্রিয়। জার্মানি বা ফ্রান্সের মতো দেশে অনেকে ‘বলিউড’ বলতে শুধু শাহরুখকেই চেনন! কথাটা শুনলে চমকে উঠতে পারেন, বিদেশের মাটিতে ‘টপ ওপেনিং ডে’ আয়ের তালিকায় প্রথম তিনটি ছবির নাম যথাক্রমে ‘মাই নেম ইজ খান’ (৫৩ লক্ষ ডলার), ‘কভি অলবিদা না কহনা’ (৪৪ লক্ষ ডলার) এবং ‘ওম শান্তি ওম’ (৪৩ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার)।
কাছেপিঠে অন্য ‘খান’ বলতে, চার নম্বরে আমিরের ‘ত্রি ইডিয়টস’ (৪০ লক্ষ ডলার)। কিন্তু পাঁচে আবার ‘রব নে বনা দি জোড়ি’ (৩৪ লক্ষ ডলার)।
আসলে দেশ হোক বা বিদেশ, শাহরুখকে নিয়ে মানুষের উৎসাহ সব সময়ই বেশি। আর এর জন্য দায়ী তার ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ইমেজ ও অফুরন্ত এনঅর্জি। এই জিনিসটি ভগবান তার মধ্যে দিতে কার্পণ্য করেননি বলেই বোধ হয় এতটা সফল তিনি। ‘রা ওয়ান’-এর প্রোমোশনের সময়ই তো এক মাসে ১৯টি শহরে নিরন্তর ঘুরেছিলেন শাহরূখ! এমন ‘অতিমানবীয়’ ক্ষমতা ইদানীয়ংকালে আর কোনো তরুণ তুর্কির মধ্যে আছে কি?
রনবীর সিংহ নাকি একটি অ্যাওয়ার্ড ফাংশনে শাহরুখের সঙ্গে নেচেই বুঝেছিলেন, তার এনার্জি লেভেল কত কম! বলিউডের যে কোনো বয়সের অভিনেত্রীর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়া বলিউডের এই সুপারস্টারের ইউএসপি আসলে তিনি নিজেই। কোনও ছবিতে তিনি থাকলে, প্রমোশন নিয়ে আর আলাদা করে কিছু ভাবতে হয় না। অনেক ছবিতে (‘হে বেবি”) তাকে শুধু একটি দৃশ্যে দেখানো হয়, ছবির বাজারদর বাড়ানোর জন্য! আসলে বডিলউডে এই মুহূর্তে শাহরুখ খানকে টক্কর দেওয়ার মতো এখনও নতুন কেউ আসেনি। যত নবীন ‘জেয়ার’ই আসুক, ‘স্তম্ভ’ একণও তিনিই, যেখানে ধাক্কা লেগে সমস্ত ঢেউই ফিরে যায়। সূত্র: ওয়েবসাইট।