নভেম্বর থেকে চূড়ান্ত আন্দোলন-খালেদা জিয়া
দুর্নীতিবাজ সরকার হটানো ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে
নভেম্বর থেকে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ লড়াই চলবে। সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে এ আন্দোলনে যোগ
দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল সোমবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি সমর্থিত পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান। জবাবে আগামীতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন প্রকৌশলীরা।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের জন্য জনমত সৃষ্টি করার লক্ষ্যে মাসব্যাপী কর্মসূচির তৃতীয় দিন তিনি প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সভায় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
(বুয়েট) সরকারের দলীয়করণ ও শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
রাত সোয়া ৯টায় শুরু হয়ে দু'ঘণ্টা চলা সভা পরিচালনা করেন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) আহ্বায়ক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান। বক্তৃতা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেন, এ্যাবের সদস্য সচিব প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, প্রকৌশলী নেতা রিয়াজুল ইসলাম রিজু, মুয়ীদ রুমী, মহসীন আলী, মহিউদ্দিন আহমেদ, জহিরুল ইসলাম ও একরামুল হক। উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী আবদুস সোবহান, গোলাম মোস্তফা, হেলাল উদ্দীন তালুকদার, ফারুক আহমেদ তালুকদার, রিয়াজ হাসান খন্দকার, নাজমুস সাকিব নিপুণ, আলিম উল বাহার রিপন, হাসানুজ্জামান সিদ্দিক মিতুল, মুস্তাফিজুর রহমান মানিক, ড. সাবি্বর মোস্তফা খানসহ শতাধিক প্রকৌশলী।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে এ দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। এ জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে। আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে নিজ নিজ পেশা ও কর্মস্থলে থেকে প্রকৌশলীদের ভূমিকা রাখতে তিনি আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন আরও বলেন, সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের ভরাডুবি নিশ্চিত। তাই যে কোনো উপায়ে দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে তারা।
খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রকৌশলীরাও তাদের কর্মস্থল ও পেশা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা, সরকারের দলীয়করণ, দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্র তুলে ধরেন। বিশেষ করে বিদ্যুৎ, গ্যাস, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে সরকারের লুটপাটের চিত্র তুলে ধরে এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিরোধীদলীয় নেতাকে পরামর্শ দেন। তারা বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। এক্ষেত্রে বিএনপিকে কঠোর আন্দোলনের মাঠ তৈরি করতে হবে; জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
প্রকৌশলী নেতারা বলেন, জনদুর্ভোগ ও সরকারের লুটপাটের ইস্যুগুলো নিয়ে আমরা সভা-সেমিনার করছি। জনসচেতনতা বাড়াতে এর সংখ্যা ও পরিধি বাড়ানো হবে। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, টেক্সটাইল, নদী_ সব সেক্টরেই প্রকৌশলীরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন। নিজেদের অধিকার সম্পর্কে জনগণকে সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ গড়ে তুলতে তারা আরও সোচ্চার ভূমিকা রাখার অঙ্গীকারের কথা জানান।
গতকাল সোমবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি সমর্থিত পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান। জবাবে আগামীতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন প্রকৌশলীরা।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের জন্য জনমত সৃষ্টি করার লক্ষ্যে মাসব্যাপী কর্মসূচির তৃতীয় দিন তিনি প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সভায় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
(বুয়েট) সরকারের দলীয়করণ ও শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
রাত সোয়া ৯টায় শুরু হয়ে দু'ঘণ্টা চলা সভা পরিচালনা করেন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) আহ্বায়ক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান। বক্তৃতা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেন, এ্যাবের সদস্য সচিব প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, প্রকৌশলী নেতা রিয়াজুল ইসলাম রিজু, মুয়ীদ রুমী, মহসীন আলী, মহিউদ্দিন আহমেদ, জহিরুল ইসলাম ও একরামুল হক। উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী আবদুস সোবহান, গোলাম মোস্তফা, হেলাল উদ্দীন তালুকদার, ফারুক আহমেদ তালুকদার, রিয়াজ হাসান খন্দকার, নাজমুস সাকিব নিপুণ, আলিম উল বাহার রিপন, হাসানুজ্জামান সিদ্দিক মিতুল, মুস্তাফিজুর রহমান মানিক, ড. সাবি্বর মোস্তফা খানসহ শতাধিক প্রকৌশলী।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে এ দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। এ জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে। আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে নিজ নিজ পেশা ও কর্মস্থলে থেকে প্রকৌশলীদের ভূমিকা রাখতে তিনি আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন আরও বলেন, সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের ভরাডুবি নিশ্চিত। তাই যে কোনো উপায়ে দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে তারা।
খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রকৌশলীরাও তাদের কর্মস্থল ও পেশা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা, সরকারের দলীয়করণ, দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্র তুলে ধরেন। বিশেষ করে বিদ্যুৎ, গ্যাস, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে সরকারের লুটপাটের চিত্র তুলে ধরে এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিরোধীদলীয় নেতাকে পরামর্শ দেন। তারা বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। এক্ষেত্রে বিএনপিকে কঠোর আন্দোলনের মাঠ তৈরি করতে হবে; জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
প্রকৌশলী নেতারা বলেন, জনদুর্ভোগ ও সরকারের লুটপাটের ইস্যুগুলো নিয়ে আমরা সভা-সেমিনার করছি। জনসচেতনতা বাড়াতে এর সংখ্যা ও পরিধি বাড়ানো হবে। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, টেক্সটাইল, নদী_ সব সেক্টরেই প্রকৌশলীরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন। নিজেদের অধিকার সম্পর্কে জনগণকে সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ গড়ে তুলতে তারা আরও সোচ্চার ভূমিকা রাখার অঙ্গীকারের কথা জানান।

