প্রস্তাব পেলে হুমায়ূনের নামে সড়ক
প্রয়াত জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক
হুমায়ূন আহমেদের নামে রাজধানী ঢাকায়
কোনো সড়কের নামকরণ বিষয়ে
সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে এ বিষয়ে
যথাযথ ব্যবস্থা নেবে সরকার।
জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে আজ বুধবার সাধনা হালদারের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। মন্ত্রী আরও বলেন, প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। নামকরণের বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সরকারের সম্মতিক্রমে এবং সিটি করপোরেশনের বোর্ড সভায় কোনো রাস্তা বা অবকাঠামোর নাম করার প্রস্তাব পাস হওয়া সাপেক্ষে নামকরণ করা হয়।
পরে সাংসদ মাহফুজা মণ্ডলের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিবিজড়িত কেন্দুয়া কলেজের উন্নয়নে প্রস্তাব পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে হুমায়ূন আহমেদের নামে কোনো সড়কের নামকরণের ব্যাপারে প্রস্তাব পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় পার্টির হোসেন মুকুল শাহরিয়ার প্রশ্ন করেন, একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকা শহরের অলিগলিতে যানজট ও জলজটে নগরবাসীকে যে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়, তা থেকে রক্ষায় সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না? এর জবাবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে রাজধানীর কোথাও জলজট হয় না। তবে, বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনে কিছুটা বেশি সময় লাগে। মন্ত্রী জানান, প্রতিবছর বর্ষার আগেই নিষ্কাশন লাইনগুলো পরিষ্কার করে রাখা হয়। বর্তমানে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ব্যাসের ৩১০ কিলোমিটার স্টর্ম স্যুয়ারেজ লাইন, ১০ কিলোমিটার বক্স কালভার্ট ও ৯০ কিলোমিটার খোলা খাল (২৬টি খাল) দিয়ে নগরের গৃহস্থলি ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হয়। এ ছাড়া নগরের জলজটপ্রবণ এলাকায় চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী।
নুরুল ইসলাম সুজনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের এলজিইডির আওতায় বর্তমান অর্থবছরে ১৭টি বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পসহ মোট ৭০টি প্রকল্প চালু আছে। এ প্রকল্পগুলোর জন্য বর্তমান অর্থবছরে মোট চার হাজার ৮৪১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
অধিবেশনে অনুপস্থিত বিএনপির সাংসদ মোসাম্মত্ শাম্মী আক্তারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সংরক্ষিত নারী আসনসহ সব সাংসদের অনুকূলে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের জন্য থোক বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সংস্থা এলজিইডির আওতাধীন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (আইআরআইডিপি) থেকে প্রতিটি সংসদীয় আসনের বিপরীতে অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে।

