ছাত্রের প্রেমে মশগুল ঋতুপর্ণা
কদিন
আগেই হয়ে গেল এই ছবির এক সাংবাদিক বৈঠক। সেখানেই পরিচালক নিজে মুখে বললেন
সিনেমার সারাংশ। বোঝাই গেল অনস্ক্রিনে আরও একবার খোলামেলা দৃশ্যে দেখা
যাবে ঋতুকে। গল্পের মূল বিষয় শিক্ষিকার সঙ্গে ছাত্রদের প্রেম। ঋতুপর্ণা
রেশমি মিত্রের এই ছবিতে অভিনয় করছেন নয়নিকা নামের চরিত্রে।
এই
বিষয়ে পরিচালক বললেন, ‘আমি বরাবরই ঋতুপর্ণার অভিনয়ের ভক্ত। তাই অনেকদিন
ধরে ওর সঙ্গে একটা ছবি তৈরি করতে চাইছিলাম। এখন ঋতুপর্ণাকে নায়িকা করে
একটা ছবি বানাব বললেই তো আর হল না, তার আগে ঠিকঠাক একটা স্ক্রিপ্টও তৈরি
করতে হবে, একটা জুতসই চরিত্রও ভাবতে হবে যা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। তখনই আমার
মাথায় এই মুক্তির প্লটটা এল’। সঙ্গে বললেন, ‘নয়নিকা চরিত্রটাকে দেখুন!
সে রীতিমতো কড়া ধাতের মহিলা। একটা এক্সট্রা-ম্যারিটাল করব বলে সে কিন্তু
ছাত্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে না। তার স্বামী তাকে ছেড়ে অন্য মেয়ের সঙ্গে
থাকে; সেই নিঃসঙ্গতার জায়গাতেই তাকে দুর্বল করে তোলে তার ছাত্র অর্ক’,
সরাসরি জানালেন পরিচালক।
তা বলে খুব বাঁধনছাড়া কিছুও রেশমির ছবিটা থেকে আশা করা অন্যায়। কেন না, শিক্ষিকা-ছাত্রর উদ্দাম প্রেম যেরকম ট্রেন্ড তৈরি করে দিয়েছে ফরাসি ছবি ‘লা পিয়ানিস্তে’, সেই জায়গা থেকে সচেতনভাবে সরে এসেছেন রেশমি। প্র্যাকটিক্যালি এরকম হলে একজন বুদ্ধিমতী বাঙালি মহিলা যা করেন, নয়নিকাও তাই করেছে। কী করেছে, সেটা জানা যাবে ছবিটা মুক্তি পেলেই। আর ঋতুপর্ণা জানালেন যে ছবিতে তাঁকে দর্শক দেখতে পাবেন প্রায় নো মেক-আপ লুকে। ‘আমি আজকাল খুব বেছে বেছে ছবি করছি; তারই মধ্যে এই ছবিটার চিত্রনাট্য আমার বেশ ভাল লেগেছে। নয়নিকা খুব অন্যরকমের এক মহিলা। তার সৌন্দর্যের পুরোটাই আন্তরিক; সেই জন্য ছবিতেও তাকে দেখা যাবে সাদামাটাভাবেই। চরিত্রটা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং; আমিও চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব নয়নিকাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে’।
ঋতুপর্ণা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে এই
ছবিতে অভিনয় করেছেন শ্রীলা মজুমদার, দোলন রায়, মনামি ঘোষ। ঠিক তেমনই এই
ছবি জন্ম দিচ্ছে অঙ্কিতা নামে এক নবাগতা নায়িকার।