ছাত্রলীগের পিটুনিতে বারডেম হাসপাতালে লাকি



জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায় পাল্টানোর দাবিতে শাহবাগের আন্দোলনে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক লাকি আক্তার ছাত্রলীগের বেধড়ক পিটুনিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে শাহবাগের বারডেম হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।


ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি পিনাক রায় পিন্টু আরটিএনএন- কে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে শাহবাগের কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে যান।

এ সময় তোফায়েল আহমেদ বক্তৃতা দিতে চাইলে লাকি আক্তার তাতে বাধা দিয়ে বলেন, ‘অরাজনৈতিক আন্দোলনে রাজনীতিক কেন বক্তব্য দেবেন?’

এরপরই সেখানে উপস্থিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কর্মসূচি মঞ্চে লাকিকে বেধড়ক লাথি, ঘুষি ও পিটুনি দেয়। এরপর বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা লাকিকে গুরুতর অবস্থায় বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যায়।

তবে এ ঘটনাকে চাপা দেয়ার জন্য লাকি আক্তার টানা আন্দোলনে পানি শূন্যতায় ভুগছেন বলে প্রচার করা হয়।

তবে সর্বশেষ রাত সোয়া ১১টায় বারডেম হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেল সেখানে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ সিপিবি ও ছাত্র ইউনিয়নের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীকে অবস্থান করতে দেখা যায়।

সাংবাদিকরা লাকির ব্যাপারে খোঁজ নিতে সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘একটু পরে আপনারা লাকিকে দেখতে পাবেন। তার মুখ থেকেই আসল ঘটনা জানতে পারবেন।’

তবে সাংবাদিকেদর ১৫ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে জরুরি বিভাগের ফটক বন্ধ করে দেন সিপিবি নেতারা।

গত মঙ্গলবার আন্দোলন শুরুর পর থেকে লাকি আক্তার মাইকে স্লোগান দিয়ে আলোচনায় আসেন। তিনি লিড স্লোগান দেন আর এতে উপস্থিত জনতা প্রতিত্তর দেন।

তবে বারডেম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা এ বিষয়ে বিস্তারি কিছু বলতে রাজি হননি। শুধু জানিয়েছেন, অসুস্থ অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকি আক্তারকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী শেষবর্ষের ছাত্রী লাকীর গ্রামের বাড়ি ফেনী। তিনি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ২০০৭ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

Powered by Blogger.