রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ জানুয়ারিতে-প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আগামী ৮ সেপ্টম্বর
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন একথা বলেন।
৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সাক্ষরতা ও শান্তি’।
রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রায় দুই দশকের আন্দোলনের পর গত ২৭ মে প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জাতীয়করণের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের রূপরেখা চূড়ান্ত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। রূপরেখার সার সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১০ সালের জরিপ অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৫৯ দশমিক ৮২ শতাংশ।
তিনি বলেন, “ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী, ২০১৪ সালের মধ্যে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দুরীকরণের ঘোষণা থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছে না । তবে আমরা একটি ট্র্যাকে পৌঁছাতে চাই।”
বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী শিশুদের ভর্তির হার ৯৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এদের মধ্যে ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকে। তবে মিড-ডে মিল চালু থাকা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ৯৬ শতাংশ।”
২০০৯ সালের একটি জরিপ অনুযায়ী দেশে তিন কোটি ৭৩ লাখ মানুষ নিরক্ষর আছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ইতোমধ্যে ৫০-৬০ লাখ মানুষকে সাক্ষরতার আওতায় আনা হয়েছে।”
শতাভাগ লোক সাক্ষরতার আওতায় না আসার পেছনে আর্থিক সমস্যার বিষয়টি জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।
এবার আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে ৮ সেপ্টেম্বর শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা এবং গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদ, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মহাপরিচালক মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।