প্রেসিডেন্ট পদে যাদের নাম আলোচনায়

দেশের ২০তম প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন? এ নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা-কল্পনা চলছে। সরকারের গুডবুকে রয়েছে এমন কেউ প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন এটা অনেকটা নিশ্চিত। ইতিমধ্যে সরকার ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট পদ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার তালিকায় এখনও পর্যন্ত চার জন আছেন। তারা হলেন- বর্তমান স্পিকার ও অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট এডভোকেট আবদুল হামিদ, আওয়ামী লীগের
প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, পরিকল্পনা মন্ত্রী একে খন্দকার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। তাদের মধ্যে দুই জনের বিষয়ে শীর্ষ মহলের আগ্রহ বেশি। তবে সাবেক চারদলীয় জোট সরকারের আমলের মতো কোন শিক্ষাবিদকে প্রেসিডেন্ট করা হবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে বলে মনে করছে সূত্র। তারা বলছেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের বিশ্বস্ত ব্যক্তি তিনি- তাই আনিসুজ্জামানকে প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করা হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। অন্যদিকে কোন ধরনের ঝামেলায় না গিয়ে আবদুল হামিদকে প্রেসিডেন্ট করার পক্ষেও রয়েছে কোন কোন পক্ষ। সংবিধানের ৫৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হলে স্পিকার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আবার সংবিধানের ১২৩ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ওই হিসেবে আগামী ১৯শে জুনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘মৃত্যু, পদত্যাগ বা অপসারণের ফলে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে পদটি শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে, তাহা পূর্ণ করার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ প্রেসিডেন্ট সরাসরি ভোটে নয়,
সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন। তবে তফসিল  ঘোষণাসহ এই নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দলের প্রতি অনুগত এবং অঙ্গীকারবদ্ধ এমন কোন প্রবীণ নেতাকেই এ পদে বসানোর চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। বিশেষ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কড়া নাড়ছে। এছাড়া, বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশও অস্থিতিশীল। তাই দলের শীর্ষ পর্যায়ের ওপর বিশ্বস্ত এমন কাউকেই প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন দেয়া হবে বলে দলীয় নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া, সংবিধান অনুসারে প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেয়ার পরবর্তী পাঁচ বছর তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। ওই হিসাবে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে এসে নতুন প্রেসিডেন্টের আগামী পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। কারণ সংবিধানের ৫০(১) অনুসারে প্রেসিডেন্ট কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে তার পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন। তবে শর্ত হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তার উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকবেন।

Powered by Blogger.