শেরপুরে শহীদ মিনার ভাঙচুরের সময় জনতার হাতে যুবলীগ নেতা আটক, পুলিশে সোপর্দ

বগুড়ার শেরপুরে যুবলীগের নেতৃত্বে স্থানীয় শহীদিয়া আলীয়া মাদরাসা শহীদ মিনার ভাঙচুরের সময় এলাকাবাসী এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে। তার নাম তবিবুর রহমান টিপু। তিনি শহর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। এ ঘটনায় স্থানীয় সরকার দলীয় এমপি হাবিবুর রহমান নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছেন।
বলেছেন, এর সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
আজ বেলা সোয়া ৩টার দিকে টিপুর নেতৃত্বে যুবলীগের ১০/১২ জন নেতা-কর্মীর একটি দল পৌর শহরের শেরপুর শহীদিয়া আলীয়া মাদরাসার শহীদ মিনারে হামলা চালায়। মাদরাসায় নবনির্মিত শহীদ মিনারের মূলস্তম্ভে হামলা করে ভাঙচুরের সময় স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া করে। এসময় শহর যুবলীগের নেতা তবিবর রহমান টিপুকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এব্যাপারে শেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা জানে আলম খোকা বলেন, শেরপুরে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। আমরা কোন সংঘাত চাই না। আমাদের নেতা জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশ কোন প্রকার সহিংসতা আমরা চাই না। আমরা চাই নির্দলীয় এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন। এই দাবি এখন জনগণের দাবি। এই দাবি আদায়ে হরতালের সময় শেরপুরে স্থানীয় যুবলীগের উদ্যোগে জাতির সম্মানীয় পবিত্র শহীদ মিনার প্রকাশ্যে দিনদুপুরে ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিচার দাবি করছি। তিনি বলেন, শহীদ মিনার ভাঙচুরের ঘটনায় যদি ওরা ধরা না পড়তো তাহলে এ অপরাধের দায় অবশ্যই শেরপুরের বিএনপি এবং জামায়াত-শিবিরের নেতাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা হতো। এ প্রসঙ্গে বগুড়া-৫ শেরপুর-ধুনট আসনের সরকারদলীয় এমপি ওই মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এমপি হাবিবুর রহমান শহীদ মিনার ভাঙচুরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। তাই যে কেউ বা যে ব্যক্তি জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে তিনি ওই ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান।
সুত্রঃ mzamin

Powered by Blogger.