কুষ্টিয়ায় কুখ্যাত লম্পট সুমন : অর্ধশতাধিক মেয়ের জীবন নষ্ট করে হাতিয়েছে কোটি টাকা

কুষ্টিয়ার কুখ্যাত লম্পট হাসানুজ্জামান সুমন। সুন্দর চেহারা আর মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে নিজেকে ধর্ণাঢ্য পরিবারের সন্তান পরিচয় দিয়ে নষ্ট করেছে অর্ধশতাধিক মেয়ের জীবন। হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা। বহু কুকর্ম করেও বহাল তবিয়্যতে রয়েছে এই যুবক। জানা যায়, কুষ্টিয়ার হরিপুরের বোয়ালদা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র হাসানুজ্জামান সুমন হোটেল ম্যানেজমেন্টে পড়ালেখা করেছে বলে জানা গেছে। তার পিতা আব্দুর রাজ্জাক
একজন সামান্য ব্যবসায়ী। কিন্তু সুমন নিজেকে কোটি পতি পিতার সন্তান বলে নিজেকে জাহির করে ধর্ণাঢ্য পরিবারের মেয়েদের ফাসিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় কোটি টাকা। শুধু তাই নয় বয়স্কা ও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলারাও রেহাই পায়নি এই লম্পটের হাত থেকে। গোষালা রোডে এক মহিলাকে নিয়ে তুলকালাম কান্ডও হয়েছে তার। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে তার লাম্পট্যের শীকার প্রায় অর্ধশতাধিক মেয়ের নাম। তাদের প্রত্যেকের সাথে কথা বলতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে অকাথ্য অনেক বিষয়। বিয়ে তিনটি করলেও অলিখিত বউয়ের সংখ্যা ৫০ এর ঘরে পৌছেছে। যাদের বিয়ে করেছে তাদের কাবিনামায়ও সঠিক ঠিকানা ব্যবহার করেনি এই লম্পট বলে জানা গেছে। এই লম্পটের লাম্পট্যের লালসার শিকার ঢাকার তমা নামের এক মহিলা জানান, মোবাইলের মাধ্যমে সুমনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপর এক পর্যায়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সুমন। ওই মহিলার সাথে ঢাকাতে গিয়ে একই ঘরে দেড় বছর সুমন বসবাস করে। ওই মহিলা একজন সঙ্গীত শিল্পী। তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ব্যবসার কথা বলে নগদ নারায়ন হাতিয়ে নিতে থাকে সুমন। ব্যবসা করে নিজে দাড়াতে পারলে সুমন তাকে বিয়ে করবে বলে প্রলোভন দেখায়। এক পর্যায়ে সুমন প্রায় তমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। তমার অর্থ শেষ হয়ে গেলে তাকে ছেড়ে সটকে পড়ে। এরপর সীমা নামের এক মেয়েকে রক্ষিতা হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় প্রায় ৬ লাখ টাকা। এরপর লিকমা নামের আরেক রমনীকে নিজের বউ সাজিয়ে তার কাছ থেকে প্রায় ৯ লাখ টাকা হাতায়। এই ভাবে চলতে থাকে তার প্রতারণা। বিবাহিত মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদের ব­াক মেইল করতে থাকে সুমন। কখনও নগ্ন ভিডিও সিডি করে কখনও ছবি তুলে তাদের ফাঁদে ফেলে সুমন। অবিবাহিত মেয়েও রয়েছে তার তালিকায়। তালিকা দীর্ঘ হতে হতে এক পর্যায়ে এসে পৌছায় পত্রিকা অফিসে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অর্ধশতাধিক মেয়ের জীবন অর্থ এবং সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করেছে সুমন। ঢাকার এক ধর্ণাঢ্য মহিলার কাছে শেষ পর্যন্ত ফেসে যায় সুমন। ওই মহিলা তার চেয়ে বয়সে বড় হলেও সুমন তাকে নিয়ে এখন নিজ বাড়িতে সংসার করছে। তবে বসে নেয় তার লাম্পট্য। সে এখনও সুযোগ সন্ধান খুঁজে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।

Powered by Blogger.